লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রেমিক জুটিদের জন্য রয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তবে সিঙ্গেলরা অনেকটা অনিচ্ছাকৃতভাবেই ওই দিনটি এড়িয়ে চলেন। কারণ, ভালোবাসা দিবসের দিনটি তাদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর। তবে এসব দিবসের ভিড়ে সিঙ্গেলদের জন্যও রয়েছে বিশেষ দিবস। আর সেই দিবসটি আজ।
আরও পড়ুন: ফুসফুস ভালো রাখার উপায়
কারণ, সারা বিশ্বে ১১ নভেম্বর, ‘সিঙ্গেলস দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। আর আপনি যদি সিঙ্গেল হয়ে থাকেন তবে দিনটি শুধুই আপনার।
সিঙ্গেল থাকার কারণে অনেকে প্রায়ই মন খারাপ করে থাকেন। তারা একে নেতিবাচক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন। আসলেই কি সিঙ্গেল বা একা থাকা খারাপ কিছু? উত্তর না, মোটেও নয়! একা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো নিজের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারা। নিজের ক্যারিয়ারে মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি নিজের কাজে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যায়।
প্রায়ই অনেকে বলেন, অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। একা থাকলেই তো নিজেকে বেশি ভালোবাসা যায়। নিজের প্রতি অনেক যত্নশীল হওয়া যায়। একা বা সিঙ্গেল থেকে মন খারাপ না করে বরং এটি উদযাপন করা যেতে পারে। চীনের মানুষ তা ঠিক করছেন। এই দিবসটি করাই হয়েছে যেন, মানুষ একা থাকার জন্য গর্ব করতে পারেন, একা থাকাকে উদযাপন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: জীবাণুমুক্ত থাকবে রান্নাঘর
১৯৯৩ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির যাত্রা শুরু চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেই সময় থেকেই এগার-এগার তারিখটি ‘সিঙ্গেলস দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
‘সিঙ্গেলস দিবসে’ রীতি অনুযায়ী চিনের সিঙ্গেল তরুণ-তরুণীরা নিজেরাই নিজেদের জন্য উপহার কেনেন।
তবে দিবসটি এখন চিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, সারাবিশ্বে বেশ ঘটা করে পালিত হচ্ছে। কেনাকাটার মহোৎসবের দিনে পরিণত হয়েছে দিনটি। তবে আগে দিনটি খুব নিভৃতে পালিত হলেও ২০০৯ সাল থেকে এর চেহারা পাল্টে যেতে শুরু করে। ওই বছর থেকেই দিনটিতে অনলাইন কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ করে চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। কয়েক বছরের মধ্যে দিনটি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিসরের একদিনের শপিং ইভেন্ট ‘সিঙ্গেলস দিবস’।
আরও পড়ুন: থানকুনি পাতার যত উপকারিতা
২০১১ সালে চীনে এই সিঙ্গেলস দিবসে চার হাজারেরও বেশি সিঙ্গেল তরুণ-তরুণী বিয়ে করেন। এর ইতিহাসটি বেশ মজার। ১৯৯৩ সালে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিংকাওউঝু ছাত্রাবাসের চারজন ছাত্র আলোচনা করেছিল যে কীভাবে তারা তাদের অবিবাহিত থাকার একঘেয়েমি দূর করতে পারে। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেন ১১ নভেম্বর তাদের মতো আরও যারা সিঙ্গেল আছেন তাদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক তরুণ-তরুণী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি।
তো যারা সিঙ্গেল আছেন, একাকীত্বের দুঃখ ভুলে আজ সময় কাটান নিজের জন্য। ঘুরতে যেতে পারেন পছন্দের কোনও জায়গায়। নিজের শখের যে জিনিসটি কিনব কিনব করে কেনা হয়ে উঠছিল না, আজ সেটি কিনে ফেলতে পারেন নিঃসংকোচে। কিংবা অন্য কোনও উপহার কিনে নিজেই নিজেকে দিন। পছন্দের রেস্তোরাঁয় গিয়ে না হয় একটু ভালোমন্দ খেয়েও নিতে পারেন আজ।
সান নিউজ/টিও
http://dlvr.it/SyhdMn