উষ্ণতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের অক্টোবরে গত এক লাখ ২৫ হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উষ্ণতম মাসটি পার করেছে পৃথিবীবাসী। এর মধ্য দিয়ে বছরটি উষ্ণতার রেকর্ড গড়েছে।

আরও পড়ুন: আইসল্যান্ডে ২ দিনে ২২০০ ভূমিকম্প

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (থ্রিসিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, আরও নতুন আশঙ্কার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির চরম আশঙ্কা করছেন তারা।

ভারতীয় জলবায়ু বিজ্ঞানীদের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, দুঃসময় ঘনিয়ে আসছে। একপ্রকার গরমে ফুটবে পুরো বিশ্ব। জলবায়ুর পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর (কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প, ওজোন, ক্লোরো-ফ্লুরো কার্বন) অতিরিক্ত প্রভাবে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর

ক্রমবর্ধমান তাপ বৃদ্ধির কারণে বনে আগুন লাগছে। বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং। তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধসসহ একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। এবার চূড়ান্ত সতর্কতা, ২১০০ সালের মধ্যে ৫.১ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সতর্কতার কথা জানিয়েছেন দেশটির আইআইটি খড়গপুরের বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: গাজায় ১০ মিনিটে ১ শিশু নিহত

এছাড়া সম্প্রতি ‘ক্লাইমেট রিসার্চ’ নামে একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা জানায়, গত ১২ মাস ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ছিল পৃথিবীতে রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণ তাপমাত্রা।

সংস্থাটি বলছে, কয়লা পোড়ানোর কারণে প্রাকৃতিক গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মতো গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।

ক্লাইমেট সেন্ট্রালের এক বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু পার্শিং জানান, আমি মনে করি, এ বছরের পরিসংখ্যান থেকে একটি বিষয় আমাদের সামনে পরিষ্কার। আমরা কেউ আর নিরাপদ নই। এ বছরের কোনো না কোনো সময়ে অস্বাভাবিক তাপমাত্রার সাক্ষী থেকেছে পৃথিবী।

আরও পড়ুন: গাজায় হত্যা বন্ধের আহ্বান ম্যাক্রোঁর

বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির যেসব লক্ষণ সামনে রয়েছে-

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বিঘ্ন হয়েছে। কারণ উষ্ণ তাপমাত্রায় বাতাসে বেশি জলীয় বাষ্প আটকে থাকে। এ কারণে বৃষ্টি হলে প্রায়ই ঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খরা নদীগুলো শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে।

ফলে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। এছাড়া মারাত্মক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের সৃষ্টি হচ্ছে। সূত্র: ডয়েচ ভেলে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সান নিউজ/এনজে


http://dlvr.it/SyhtvN