নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ১২০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালে রিখটার স্কেলের ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১২০ জনে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। সূত্র: রয়টার্স

আরও পড়ুন: রোববার থেকে ২ দিন অবরোধের ঘোষণা

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাজারকোট জেলা। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।

শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যানুসারে, জাজারকোট এবং পশ্চিম রুকুমে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জাজারকোট জেলার উপপুলিশ সুপার সন্তোষ রোকা বলেন, শুধু জাজারকোটেই ৪৪ জন মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে নালগড় পৌরসভার ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও রয়েছেন।

জাজারকোটে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সুরক্ষেতের কর্নালী প্রদেশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং বাকিরা জেলার বিভিন্ন মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পশ্চিম রুকুম জেলার উপপুলিশ সুপার নামরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যে পশ্চিম রুকুমে মৃতের সংখ্যা ৩৬ এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে আটবিসকোট পৌরসভায় ৩৬ জনের এবং সানিভেরি গ্রামীণ পৌরসভায় আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম রুকুমে আহতদের সংখ্যা ৮৫ জনে পৌঁছেছে।

খবরে বলা হয়েছে, জাজারকোট জেলার ভেরি, নালগাদ, কুশে, বেরেকোট এবং চেদাগড় ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। প্রধান জেলা কর্মকর্তা সুরেশ সুনার জানিয়েছেন, জেলার সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে জড়ো করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা বিএনপির

এর আগে, ২২ অক্টোবর ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেঁপে ওঠে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর ছিল না।

নেপাল তিব্বতীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলোর মিলনস্থলে অবস্থিত। প্রতি শতাব্দীতে এটি অপরের দুই মিটার কাছাকাছি অবস্থান করে, যার ফলে চাপ সৃষ্টি হয় যা ভূমিকম্প হয়।

নেপাল বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। নেপালে ২০১৫ সালে একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।