সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। এছাড়া তারা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুরসহ সরকারি একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিচালা এলাকার লেগোস অ্যাপারেলস, এটিএস, বে-ফুটওয়ারসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা।
আজ সকালে সপ্তম দিনের মতো গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড়, নলজানী, ও মালেকেরবাড়ি এলাকা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এ দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একদিকে মালেকের বাড়ি, অন্যদিকে নলজানি এলাকা থেকে বিক্ষোভ নিয়ে শ্রমিকরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
তারা ৩ দিক থেকে বিক্ষোভ শুরু করায় ২ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় শ্রমিকরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ভবনে ঢিল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করে।
এদিকে শ্রমিকদের একটি গ্রুপ গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করতে গেলে শিল্প ও থানা পুলিশ তাদের ছাত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগরা কলম্বিয়া কারখানার শ্রমিকরা একটি সরকারি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
হরতালের পরদিন এমন অবস্থায় জেলার সাধারণ মানুষ তাদের কর্মস্থলে রওনা হলেও সড়ক অবরোধের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। এ সময় অনেকেই পায়ে হেটেই রওনা হন।
শ্রমিকরা বলেন, বাজারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের বেতন বাড়েনি। বেতন সেই আগের মতোই আছে। এখন আমাদের আন্দোলন ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তাই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে।
গাজীপুর বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছে শ্রমিকরা। এ সময় তারা সড়কে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ ২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক বলেন, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে।
তারা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর ও ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে এবং একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।